মূল পাতা মুসলিম বিশ্ব আবারও যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন; ফিলিস্তিনিদের মুক্তি আটকে দিলেন নেতানিয়াহু
মুসলিম বিশ্ব ডেস্ক 23 February, 2025 02:20 PM
গাজ্জায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে আরও ছয় জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। তবে এর বিনিময়ে যে ৬২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল, তা অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে দিয়েছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দিয়েছে হামাস। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার রাতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন একটি বিবৃতি দেন, যেখানে তিনি বলেন, অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইসরাইলি জিম্মিদের অসম্মান করা হয়েছে। এ ছাড়া অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করার জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ধাপে জিম্মিদের সুষ্ঠুভাবে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব ফিলিস্তিনি মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, দিন পেরিয়ে রাত হয়ে গেলেও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেয়নি ইসরাইল। অপেক্ষারত ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো তাদের স্বজনদের ফিরে পেতে অপেক্ষার প্রহর গুনছে।
এদিকে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে চুক্তি বাস্তবায়নে গড়িমসি এবং যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার কৌশলের অভিযোগ তুলেছে হামাস। হামাসের এক মুখপাত্র বলেছেন, নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও ইসরাইল সপ্তম দফায় বন্দিদের মুক্তি না দিয়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তির চরম লঙ্ঘন করেছে।
দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজ্জায় ইসরাইলি বাহিনী আগ্রাসন চালানোর পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এরপর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে। এসময় চার জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। চারজনকে মুক্তি দেওয়া আগে মঞ্চে উঠানো হয়, এসময় জিম্মিদের একজন হাসতে হাসতে তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ফিলিস্তিনি এক যোদ্ধার কপালে চুমুও খেয়েছেন।
এমন এক অনুষ্ঠানকে ‘অপমানজনক অনুষ্ঠান’ বলায় নেতানিয়াহুকে মিথ্যাবাদী বলছেন অনেকেই। তাছাড়া ফিলিস্তিনি বন্দীদের আটকানোর উদ্দেশ্যেই ইসরাইলের এই মিথ্যাচার।